Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়, নাগেশ্বরী, কুড়িগ্রাম-এ স্বাগতম।


সমস্যা-৩০। প্রতিকার

সমস্যা-৩০। একজন খামারী মনোসেক্স তেলাপিয়া একক চাষ করেন। পোনা প্রায় দুই মাস আগে মজুদ করেছেন। সম্পূরক খাবার হিসেবে বাজারের তেলাপিয়া ফিশ ফিড ব্যবহার করেন। হঠাৎ করে মাছ সম্পূরক খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। জাল টেনে মাছের শরীর প্রায় সব স্থানে লাল গোল চাকা দাগ দেখা যায়। চোখ ফলে বের হয়ে গেছে। দু একটি মাছের ক্ষত স্থান হতে রক্ত বের হচ্ছে। প্রতিকার বা করণীয় কি হতে পারে?


কারণঃ এটা একটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ। এই ব্যাকটেরিয়ার নাম Streptococus sp. মাছের সম্পূরক খাবার উপাদান বা পোনা প্রধানত ব্যাকটেরিয়ার বাহক হিসেবে কাজ করে। পুকুরের পানির তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে সাধারণত এ রোগের ব্যাপকতা দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকে। এছাড়া, সম্পূরক খাবারের উপাদান যদি ছত্রাকযুক্ত বা পঁচা হয় তবে সম্পূরক খাবারের উপাদান হতেও এ রোগের জীবাণু সংক্রামিত হতে পারে।


প্রতিকারঃ

  • মনোসেক্স তেলাপিয়ার পোনা সংগ্রহকালীন সময়ে যে খামার বা হ্যাচারির ব্রুড বা পোনায় ইতিপূর্বে এ রোগের পরিলক্ষিত হয়েছে সে সমস্ত হ্যাচারি হতে পোনা সংগ্রহ না করাই উত্তম। এছাড়া, পোনা সংগ্রহের পূর্বে ঐ হ্যাচারি বা খামারের পারিপার্শ্বিক অবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শন করে সন্তোষজনক প্রতীয়মান হলে পোনা সংগ্রহের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
  • সম্পূরক খাবারের গুণগতমান অবশ্যই ভাল হতে হবে। কোন অবস্থাতেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া, পচা খাবার দেয়া যাবে না। 
  • পুকুরের পানি তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। 
  • পুকুরে প্রতি শতকে ২৫০ হতে ৩০০ গ্রাম জিওটক্স ব্যবহার করা যেতে পারে। 
  • এছাড়া, Amoxocillin powder প্রতি কেজি খাবারের সাথে ৭ হতে ১০ গ্রাম ২ সপ্তাহ প্রয়োগ করা যেতে পারে। তবে, Amoxocillin powder প্রয়োগ করা হলে এ পুকুরের মাছ কমপক্ষে ২১ দিন পর বাজারজাত করতে হবে। কোন অবস্থাতেই এ মাছ ২১ দিনের আগে বিক্রি করা যাবে না ।


বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুনঃ ০১৭৬৯৪৫৯৭৫৮
sufonageshwari@fisheries.gov.bd