Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়, নাগেশ্বরী, কুড়িগ্রাম-এ স্বাগতম।


সমস্যা-৩২। প্রতিকার

সমস্যা-৩২। একজন খামারী একটি এক বিঘার পুকুরে রুই জাতীয় মাছের চাষ করেন। তিনি পুকুর পাড়ে হাঁসের খামার করেছেন। পুকুর পাড়ে হাঁসের খামার হতে প্রতিদিন পুকুরে হাঁস সাঁতার কাটে এবং দিনের অধিকাংশ সময় হাঁস পুকুরে থাকে। পুকুর মাছ চাষ কালীন সময়ে মাঝেমধ্যে মাছ ভাসে। মাঝেমধ্যে পুকুরে গ্যাসের সমস্যা হয় এবং পানির রং প্রায় সময় সবুজ বা হালকা বা গাঢ় বাদামি আকার ধারণ করে। এ সমস্যা কিভাবে মোকাবেলা করা যেতে পারে?


কারণঃ বর্তমানে উত্তম মাছ চাষ পদ্ধতি অনুশীলনে পুকুরে হাঁসের সাথে মাছের চাষ বা পুকুর পাড়ে হাঁসের চাষ নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ এতে পুকুরে মাছের বিভিন্ন রোগ হতে পারে। পুকুরে অথবা পুকুর পাড়ে মাছের সাথে হাঁসের চাষ করলে পুকুরের পরিবেশ বিপর্যয় হয়ে থাকে এবং উৎপাদিত মাছ জনস্থাথের ক্ষতিকরও হতে পারে। হাঁসের পায়খানা পুকুরে পানিতে মিশে পুকুরে তলায় জমে পচনের সৃষ্টি করতে পারে এবং পানিতে প্রায় সময় অক্সিজেন ঘাটতি এবং পুকুরে অ্যামোনিয়ার মাত্রা সহনশীল মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে। ফলে, পুকুরে দ্রবীভূত অক্সিজেনের ঘাটতি হতে পারে। এবং অ্যামোনিয়াজনিত কারণে মাছ মারা যেতে পারে।


প্রতিকারঃ

  • কোন খামারী এ পদ্ধতির মাধ্যমে মাছচাষ আরম্ভ করে উপরোক্ত সমস্যা দেখা দিলে পুকুরে এরুপ অবস্থা দেখা দিলে বিঘা প্রতি ১০ কেজি হারে জিওটক্স বা জিওলাইট প্রয়োগ করা যেতে পারে।
  • পুকুরে অ্যামোনিয়ার মাত্রা বেশি পরিলক্ষিত হলে বিঘা প্রতি ৫০ হতে ৬০ গ্রাম হারে অ্যামোনিল পাউডার প্রয়োগ করা যেতে পারে।


বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুনঃ ০১৭৬৯৪৫৯৭৫৮
sufonageshwari@fisheries.gov.bd